এমন মানুষ খুব কমই দেখা যায় যারা শাক খেতে পছন্দ করেনা । অনেক প্রকার শাক হয়ে থাকে । তার মধ্যে আমাদের দেশে কচু শাক খুবই পরিচিত । এটি বিভিন্ন ভাবে রান্না করে খাওয়া যায় । তবে তার মধ্যে ইলিশ মাছ , ছোট মাছ , চিংড়ি বা শুটকি মাছ দিয়ে কচু শাক সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয়ে থাকে । কচু দক্ষিণ ও দক্ষিণ – পূর্ব এশিয়ার সুপরিচিত একটি সবজি। এর কাণ্ড সবজি এবং পাতা শাক হিসেবে খাওয়া হয় ।
কচু মানুষের চাষকৃত প্রাচীন উদ্ভিদগুলোর মধ্যে একটি । বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব এলাকায় কম বেশি কচু দেখতে পাওয়া যায় । কচু বহু প্রজাতির হয়ে থাকে । এই শাক গ্রামে বেশি পাওয়া যায় । বিশেষ করে নরম ও স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় , জমির খেতের আইনে , পুকুর পাড়ে বেশি দেখতে পাওয়া যায় । গ্রামে এটি সহজলভ্য হলেও এর বেশ কদর রয়েছে শহরে । কচু শাকটি অনেক সহজলভ্য হলেও এতে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ ।
কচু শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমানে খাদ্যশক্তি এবং ভিটামিনে ভরপুর । এই শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমান ভিটামিন সি , ভিটামিন বি , ভিটামিন সি , ক্যালসিয়াম , আয়রন , কার্বোহাইড্রেট , ম্যাগনেসিয়াম , ফসফরাস , ম্যাঙ্গানিজ , আয়োডিন , পটাশিয়াম , প্রোটিন , ফাইবার , শর্করা । এছাড়া , এতে অ্যান্টিঅক্সিডেণ্ট রয়েছে । কচু শাকের পুষ্টি উপাদান বেশি থাকায় সব বয়সের মানুষ খেতে পারে । আসো জেনে নেওয়া যাক কচু শাকের উপকারিতা – – ——-
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে ঃ কচু শাকে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেণ্ট , যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে । কচু শাক স্তন ক্যান্সার প্রতিরধে দারুণ কার্যকরী । নিয়মিত কচু শাক খেলে কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায় ।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ঃ কচু পাতায় প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি রয়েছে , যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে । আর উপাদানটি শরীরের ক্ষত সারাতে সাহায্য করে । এই কচু শাকই দৈনন্দিন পুষ্টির চাহিদা অনেকখানি পূরণ করতে পারে । তাই শিশুদের ছোট বেলা থেকেই কচুর শাক খাওয়ানো উচিত ।
দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য ; কচু শাকে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ , যা আমাদের রাতকানা , ছানি পড়াসহ চোখের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ-সহ দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে । এছাড়া , এতে থাকা বিটা – ক্যারোটিন চোখের জন্য খুব উপকারী এবং চোখ সম্পর্কিত জটিলতা কমায় । আর রাতকানা রোগ সারাতে কচু শাকের তুলনা নেই ।
দাঁত ও হাড় ক্ষয় রোধ করে ঃ কচু শাকে প্রচুর পরিমানে রয়েছে ক্যালসিয়াম , ম্যাগনেসিয়াম , ফসফরাস , ম্যাঙ্গানিজ , যা দাঁত হাড় ক্ষয় রোধ করে । দাঁত ও হাড়ের গঠনে ক্ষয়রোধে এসব উপাদানে কচু শাকের গুরুত্ব অনেক বেশি ।
কোষের পুনর্গঠনে সাহায্য করে ঃ কচু শাকে প্রচুর পরিমানে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন রয়েছে , যা দেহের বৃদ্ধি ও কোষ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে । এছাড়া , কচু শাকে থাকা ভিটামিন কোষের পুনর্গঠনে সাহায্য করে ।
রক্তশূন্যতা দূর করে ঃ কচু শাকে প্রচুর পরিমানে আয়রন থাকে , যা রক্তশূন্যতা দূর করতে ভূমিকা রাখে । যারা রক্তস্বল্পতা ভুগছেন তারা কচু শাক খেতে পারেন নিয়মিত ।