boost collagen production : কোলাজেন বাড়াতে যে সমস্ত খাবার গুলি খাওয়া প্রয়োজন ।

মানবদেহের সবচেয়ে বেশি পরিমানে মজুত প্রোটিনটি হল কোলাজেন । এটি হাড় , ত্বক , টেণ্ডনস ও লিগামেণ্ট গঠনে সাহায্য করে । শুধু ত্বক নয় , নখ , রক্তনালী , কার্টিলেজ , পেশিতে থাকে এই প্রোটিন । শরীর স্বাভাবিক ভাবেই কোলাজেন তৈরি করে , তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে এবং সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির কাড়নে এর উৎপাদন হ্রাস পায় । ফলে ত্বক কুঁচকে যায় এবং ঝুলে পড়ে । তাই শরীরে কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য মানসিক চাপ এড়ানো এবং রাতের ঘুম গুরুত্বপূর্ণ । এছাড়া , কোলাজেন সমৃদ্ধ খাবার শরীরের সুস্থ স্তর বজায় রাখে । এই প্রোটিন অনুতে অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে এবং এটি সংযোগকারী টিস্যুর বহির্কোষীর স্থানে কাঠামোগত সাহায্য প্রদান করে । ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখার জন্য এবং বলিরেখা কমানোর জন্য কোলাজেন হল একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ।

কোলাজেন মানুষের ত্বকের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান , এটি ঝুলে পড়া রোধ করে , ত্বককে মোটা এবং তরুণ দেখায় । প্রয়জোনের তুলনায় কোলাজেন উৎপাদন যে কম হচ্ছে , সেটা রক্তপরীক্ষা ছাড়াও বোঝা সম্ভব । কোলাজেন উৎপাদন কম হওয়ার লক্ষণ গুলি হল —— পেশি দুর্বল হয়ে যাওয়া , গাঁটে দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা , ত্বকে বলিরেখা বা চোখে – মুখে ক্লান্তির ছাপ ইত্যাদি । নিয়ম মেনে শরীরের কোলাজেন উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব । খাদ্যভ্যাসের প্রয়োজনীয় বদল আনা হল এর জন্য অন্যতম উপায় । অর্থাৎ , পর্যাপ্ত পরিমাণে এবং নির্দিষ্ট গুনমানের খাবার পাতে থাকা জরুরি । অতএব , কোলাজেন সমৃদ্ধ ফল এবং খাবার খাওয়া শরীরকে প্রাকৃতিক ভাবে এই প্রোটিন তৈরি করতে সাহায্য করে । ভিটামিন শি শরীরে কোলাজেন তৈরির একটি দারুন উৎস ।

কোলাজেন সমৃদ্ধ খাবার গুলি হল ——————-

মুরগির মাংস ঃ মুরগির মাংস কলাজেনের সেরা উৎসগুলির মধ্যে একটি । মুরগির মাংসে অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে যা শরীরের প্রাকৃতিক ভাবে কোলাজেন তৈরির জন্য প্রয়োজন । তাই সহজে কোলাজেন পেতে চাইলে মুরগির পাখনা বা চামড়া – সহ মাংস খাওয়া উপকারী ।

কুমড়োর বীজ ঃ কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধিকারী সেরা খাবার গুলির মধ্যে একটি হল কুমড়োর বীজ । এই বীজ গুলী জিঙ্ক সরবরাহ করে যা শরীরকে আরও কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে । তাই প্রাকৃতিক ভাবে কোলাজেন বৃদ্ধি করতে চাইলে নিয়মিত খাদ্যতালিকায় কুমড়োর বীজ রাখতে পারেন ।

মিষ্টি আলু ঃ কোলাজেন- যুক্ত খাবারের তালিকায় রয়েছে মিষ্টি আলু । কারণ মিষ্টি আলু শরীরকে ভিটামিন এ সরবরাহ করে । প্রাকৃতিক কোলাজেন উৎপাদনের জন্য এই ভিটামিনটি গুরুত্বপূর্ণ ।

পাতাযুক্ত সবুজ শাকসবজি ঃ কোলাজেন সমৃদ্ধ কিছু সেরা নিরামিষ খাবার হল পাতাযুক্ত সবুজ শাকসবজি । পালং শাক , কালে এবং সুইস চার্ডের মতো পাতাযুক্ত সবুজ শাক সবজিতে ক্লোরোফিল থাকে , যা ত্বকে কোলাজেনের অগ্রদূতকে বাড়িয়ে তুলতে দেখা যায় । এই সবুজ শাক সবজি গুলিতে ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেণ্ট সমৃদ্ধ যা সামগ্রিক ত্বকের স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে ।

রসুন ঃ রসুনের নিজস্ব কোনো কোলাজেন নেই । তবে , রসুন দেহে কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে । সালফার সমৃদ্ধ রসুন , যা কোলাজেন ভাঙন রোধ করে এবং এর উৎপাদনে ভূমিকা পালন করে । এছাড়াও , রসুনে লিপিড অ্যাসিড এবং টরিন থাকে , যা শরীরকে কোলাজেন ফাইবার পুননির্মাণে সাহায্য করে ।

কাজু বাদাম ঃ কাজু বাদামেও সরাসরি কোলাজেন নেই । তবে এটি কোলাজেন তৈরিতে গুরুত্বপুরন অবদান রাখে । কাজু বাদাম কপার নামক খনিজ সমৃদ্ধ , যা কোলাজেন য় ইলাস্টিক গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ।

ডিমের সাদা অংশ ঃ ডিমের সাদা অংশ প্রোলিনের ভালো উৎস , যা কলাজের উৎপাদনকারী প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড হিসেবে কাজ করে ।

টমেটো ঃ টমেটো হল কোলাজেন সমৃদ্ধ নিরামিষ খাবার , বিশেষ করে নিরামিষাশীদের জন্য । নিয়মিত খাবার তৈরিতে টমেটো ব্যবহার করুন । কারণ । টমেটো ভিটামিন সি সরবরাহ করে , যা শরীরের প্রাকৃতিক কোলাজেন উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে । এছাড়া , টমেটোতে থাকা ভিটামিন সি ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করতে পারে , এটিকে আরও দৃঢ় করে তোলে ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top